#কাবার_পথে #রসুলের_দেশে-০১
মক্কা থেকে
মু.রেজাউল করিম
মাদারীপুর জেলা কৃত্বিসন্তান
আলহামদুলিল্লাহ,
একজন মুমিনের বুকে সারা জীবন স্বপ্ন থাকে কালো গেলাফের এবং সবুজ গম্বুজের।মহান আল্লাহ আমাকে তৌফিক দান করেছিলো বাইতুল্লাহর তাওয়াফ এবং নবীজীর রওজায় সালামের নজরানা পেশ করার।বাইতুল্লাহর মুসাফির হয়ে পবিত্র ওমরা হজ্জ পালনের সময় তাওয়াফ করেছি কালো গেলাফে ঢাকা পবিত্র কাবা শরিফ,হাজারে আসওয়াদে চুমু খেয়েছি, দু চোখ জুড়িয়েছি মাকামে ইব্রাহিম দেখে। তৃপ্ত হয়েছি যমযম কূপের পানি পান করে। সাঈ করেছি বিবি হাজেরার স্মৃতির নিদর্শন সাফা মারওয়া পাহাড়।
গিয়েছি আল্লাহর রসুলের বাড়ী। মল ত্যাগ করেছি নবীর দুশমন আবু জেহেলের বাড়ীতে।
দুচোখ দিয়ে দেখেছি হিজরতের রাতে নবীজি ও হযরত আবুবকরের আশ্রয় স্থান জাবালে সুর/গারে সুর।
পবিত্র কুরআন নাজিলের স্থান জাবালে নূরে আরহন করে নিজেকে ধন্য করেছি।
আরাফার ময়দানে উপস্থিত হয়ে গিয়েছি “জাবালে রহমত”যেখানে দাড়িয়ে নবীজি বিদায় হজ্বের ভাষণ দিয়েছিলেন। দূর থেকে দেখেছি ইসমাইল আ: এর কুরবানীর স্থান। মুজদালিফা, মিনা,ঘুরে ঘুরে দেখেছি। গিয়েছি শয়তানকে পাথর মারার স্থান জামরা।
বাদশা হারুন আ: তৈরি নহরে জোবেদা দেখেছি।যিয়ারত করেছি উম্মুল মুমিনিন হযরত খাদিজা রা: কবর। চোখ জুড়িয়েছি জিন মসজিদ দেখে।
সবুজের শহর তায়েফ গিয়েছি। দেখেছি আল্লাহর রসুলের আহত হওয়ার স্থান যেখানে তৈরি হয়েছে মসজিদ আলি। নবীজি আহত হওয়ার পর আশ্রয় নেওয়া আঙ্গুর বাগান। নামাজ পড়েছি আততাজ রা: মসজিদে।ঘুরে দেখেছি সেই বুড়ির বাড়ি যে নবীজির চলার পথে কাটা বিছিয়ে দিতো। সেই কাটা যুক্ত বড়ই গাছ এবং নামাজের স্থান আজো আছে। নামাজ পড়েছি তায়েফের বিখ্যাত
হযরত আব্বাস রা: এর মসজিদে।
মদিনাহ জেয়ারা :
মদিনায় দেখেছি মসজিদে নববী,নামাজ পড়েছি রিয়াজুল জান্নাতে। সালাম পেশ করেছি নবীজির রওজা মুবারকে। গিয়েছি ওহুদ প্রান্তর দেখেছি,আকিক খান, জাবালে রুমাত,আল্লাহর রসুল (সা:)আহত অবস্থায় ওহুদ পাহাড়ের আশ্রয়ের স্থান।
হজরত হামজা রা: কবর সহ ওহুদের শহীদানদের কবর।
নামাজ পড়েছি মসজিদে কুবায়,মসজিদ কেবলাতাইন ও মসজিদে কুবায়।দেখতে গিয়েছি হিজরতের সময় নবীজিকে অভ্যার্থনা জানানোর গেট। ঘুরে দেখেছি বিখ্যাত মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়।
উপস্থিত হয়েছিলাম খন্দক প্রান্তরে দেখেছি সাত মসজিদ।
জীনের পাহাড় নামে পরিচিত যেখানে স্টাডিং বন্ধ রাখলেও ১২০ কি:মি: পর্যন্ত গাড়ির গতি উঠে। মরুভূমির জাহাজ উটের দুধ পান করতে গিয়েছিলাম মরুভূমিতে খেয়েছি কাঁচা দুধ উট দোহন করে। মরুভূমি ঘুরে দেখেছি উটের পিঠে চড়ে। মদিনার বিখ্যাত খেজুর বাগান ঘুরে দেখেছি।
আয়ের পাহাড়,( জাহান্নামের পাহাড়)মদিনার বিখ্যাত সাওর পাহাড় সহ অসংখ্য পাহাড় দেখেছি।
লাশের সাথে জান্নাতুল বাকীতে প্রবেশ এবং লাশ দাফন করেছি। আল্লাহর রাসুলের মৃত্যুর পর হযরত আবু বকর (রা:)এর খিলাফতের বাইয়াত গ্রহনের স্থান পরিদর্শন করেছি।
মহান আল্লাহ তৌফিক দিলে প্রতিটি বিষয় এবং স্থান নিয়ে বিস্তারিত লেখার চিন্তা আছে।ইনশাআল্লাহ। আপনাদের উৎসাহ ও সহযোগিতা পেলেই আমার লেখা স্বার্থক হবে এবং নিজেকে ধন্য মনে করবো।
মক্কা থেকে
মু.রেজাউল করিম
মাদারীপুর জেলা কৃত্বিসন্তান
আলহামদুলিল্লাহ,
একজন মুমিনের বুকে সারা জীবন স্বপ্ন থাকে কালো গেলাফের এবং সবুজ গম্বুজের।মহান আল্লাহ আমাকে তৌফিক দান করেছিলো বাইতুল্লাহর তাওয়াফ এবং নবীজীর রওজায় সালামের নজরানা পেশ করার।বাইতুল্লাহর মুসাফির হয়ে পবিত্র ওমরা হজ্জ পালনের সময় তাওয়াফ করেছি কালো গেলাফে ঢাকা পবিত্র কাবা শরিফ,হাজারে আসওয়াদে চুমু খেয়েছি, দু চোখ জুড়িয়েছি মাকামে ইব্রাহিম দেখে। তৃপ্ত হয়েছি যমযম কূপের পানি পান করে। সাঈ করেছি বিবি হাজেরার স্মৃতির নিদর্শন সাফা মারওয়া পাহাড়।
গিয়েছি আল্লাহর রসুলের বাড়ী। মল ত্যাগ করেছি নবীর দুশমন আবু জেহেলের বাড়ীতে।
দুচোখ দিয়ে দেখেছি হিজরতের রাতে নবীজি ও হযরত আবুবকরের আশ্রয় স্থান জাবালে সুর/গারে সুর।
পবিত্র কুরআন নাজিলের স্থান জাবালে নূরে আরহন করে নিজেকে ধন্য করেছি।
আরাফার ময়দানে উপস্থিত হয়ে গিয়েছি “জাবালে রহমত”যেখানে দাড়িয়ে নবীজি বিদায় হজ্বের ভাষণ দিয়েছিলেন। দূর থেকে দেখেছি ইসমাইল আ: এর কুরবানীর স্থান। মুজদালিফা, মিনা,ঘুরে ঘুরে দেখেছি। গিয়েছি শয়তানকে পাথর মারার স্থান জামরা।
বাদশা হারুন আ: তৈরি নহরে জোবেদা দেখেছি।যিয়ারত করেছি উম্মুল মুমিনিন হযরত খাদিজা রা: কবর। চোখ জুড়িয়েছি জিন মসজিদ দেখে।
সবুজের শহর তায়েফ গিয়েছি। দেখেছি আল্লাহর রসুলের আহত হওয়ার স্থান যেখানে তৈরি হয়েছে মসজিদ আলি। নবীজি আহত হওয়ার পর আশ্রয় নেওয়া আঙ্গুর বাগান। নামাজ পড়েছি আততাজ রা: মসজিদে।ঘুরে দেখেছি সেই বুড়ির বাড়ি যে নবীজির চলার পথে কাটা বিছিয়ে দিতো। সেই কাটা যুক্ত বড়ই গাছ এবং নামাজের স্থান আজো আছে। নামাজ পড়েছি তায়েফের বিখ্যাত
হযরত আব্বাস রা: এর মসজিদে।
মদিনাহ জেয়ারা :
মদিনায় দেখেছি মসজিদে নববী,নামাজ পড়েছি রিয়াজুল জান্নাতে। সালাম পেশ করেছি নবীজির রওজা মুবারকে। গিয়েছি ওহুদ প্রান্তর দেখেছি,আকিক খান, জাবালে রুমাত,আল্লাহর রসুল (সা:)আহত অবস্থায় ওহুদ পাহাড়ের আশ্রয়ের স্থান।
হজরত হামজা রা: কবর সহ ওহুদের শহীদানদের কবর।
নামাজ পড়েছি মসজিদে কুবায়,মসজিদ কেবলাতাইন ও মসজিদে কুবায়।দেখতে গিয়েছি হিজরতের সময় নবীজিকে অভ্যার্থনা জানানোর গেট। ঘুরে দেখেছি বিখ্যাত মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়।
উপস্থিত হয়েছিলাম খন্দক প্রান্তরে দেখেছি সাত মসজিদ।
জীনের পাহাড় নামে পরিচিত যেখানে স্টাডিং বন্ধ রাখলেও ১২০ কি:মি: পর্যন্ত গাড়ির গতি উঠে। মরুভূমির জাহাজ উটের দুধ পান করতে গিয়েছিলাম মরুভূমিতে খেয়েছি কাঁচা দুধ উট দোহন করে। মরুভূমি ঘুরে দেখেছি উটের পিঠে চড়ে। মদিনার বিখ্যাত খেজুর বাগান ঘুরে দেখেছি।
আয়ের পাহাড়,( জাহান্নামের পাহাড়)মদিনার বিখ্যাত সাওর পাহাড় সহ অসংখ্য পাহাড় দেখেছি।
লাশের সাথে জান্নাতুল বাকীতে প্রবেশ এবং লাশ দাফন করেছি। আল্লাহর রাসুলের মৃত্যুর পর হযরত আবু বকর (রা:)এর খিলাফতের বাইয়াত গ্রহনের স্থান পরিদর্শন করেছি।
মহান আল্লাহ তৌফিক দিলে প্রতিটি বিষয় এবং স্থান নিয়ে বিস্তারিত লেখার চিন্তা আছে।ইনশাআল্লাহ। আপনাদের উৎসাহ ও সহযোগিতা পেলেই আমার লেখা স্বার্থক হবে এবং নিজেকে ধন্য মনে করবো।
কাবার পথে_রাসূলের দেশ-রেজাউল করিম
Reviewed by pencil71
on
July 07, 2018
Rating:
Reviewed by pencil71
on
July 07, 2018
Rating:


No comments: