আমাদের মধ্যে কিছু লোক আছেন যারা বিভিন্ন সেমিনার, প্রোগ্রাম বা হালাকায় যান। সেখানে তারা বিভিন্ন ধরণের জ্ঞানার্জন করেন। তাদের অনেকেই মনে করেন তারা এগুলো জানেন এবং মনে করেন যে এগুলো দিয়ে অন্যদের সাথে ডিবেট-তর্ক-বিতর্ক করা যাবে। তারা অন্যদের ব্যাপারে বলতে থাকেন "ঐ ব্যক্তি তো বুঝেই না। এই আয়াত, হাদীস, রেফারেন্স তো জানেই না"। এভাবে অনেক রেফারেন্স আপনি জানেন কিন্তু এগুলো ব্যবহার করছেন আপনার বিপরীত পক্ষকে বলের মত ছুড়ে ফেলার জন্য। আপনি এসব জ্ঞানার্জন করছেন অন্যকে পরাজিত করার জন্য।সুতরাং আপনি যেই জ্ঞানার্জন করছেন তা ‘বিনয়ী বা বিনম্র’ হওয়ার জন্য নয় বরং ‘বিনয়ী বা বিনম্রভাবকে দূরীভূত করার জন্য’।
অথচ এটা ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য নয়, বরং অবিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট্য। অবিশ্বাসীরা জ্ঞানার্জন করে নিজেদের নামের পাশে টাইটেল যোগ করার জন্য এবং দেখে থাকবেন তারা সাধারণত তাদের নাম বলার আগেই বলে বসেন 'আমি ডক্টর, এমফিল, এই টাইটেল, সেই টাইটেল' ইত্যাদি। এভাবে বুঝাতে চায় যে আমার জ্ঞান আপনার চাইতে বেশি। এটা সকলের জন্য সত্য না হলেও অনেকের জন্যই সত্য।
ইসলামী জ্ঞানের পদ্ধতি হল আপনি যতই জ্ঞানী হবেন ততই বিনয়ী হতে হবেন। কিন্তু আপনার জ্ঞান যদি জাজমেন্টাল হয়, অন্য স্কলারদের প্রতি বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার জন্য হয়, অন্যকে খাটো করার জন্য হয়, অন্যকে পরাজিত করার জন্য হয়, তবে এটা অবিশ্বাসীদের চাইতে কি তফাৎ হল?
নিজেদের এভাবে বড় ভাবার কারণ কি জানেন? - তাওহীদের অভাব। যেখানে আল্লাহ থাকে না সেখানে তাওহীদের পরিবর্তে ভিন্ন কিছু বাসা বাঁধে - আপনার ইগো বা অহংকার সেই স্থান দখল করে নেয়। অথচ আপনার জানা উচিৎ ছিলঃ
“প্রত্যেক জ্ঞানবান ব্যক্তির উপর আছে অধিকতর জ্ঞানী সত্তা।” [সূরা ইউসুফঃ ৭৬]
------------------------------------------------------
- উস্তাদ নোমান আলী খানের লেকচার।
জ্ঞানার্জন, বিতর্ক-অহংকার ও বিনম্রতা-Pencil71
Reviewed by pencil71
on
January 01, 2019
Rating:
Reviewed by pencil71
on
January 01, 2019
Rating:
No comments: