জ্যোৎসনা রাতের অসম্ভব সৌন্দর্য নিয়ে অনেক বড় বড় লেখকদের গল্প পড়েছি। তাই নতুন করে আমি আর কি লিখব। তারপরেও জ্যোৎসনার রাতকে নিয়ে একটু শেয়ার করবো!!
যখন পূর্ণিমার রাত হত, ঘরের জানালা দিয়ে সেই চাঁদ দেখতাম। ছোট সময় থেকে শুরু এখনো বেশির ভাগ কাটছে সময় নানা বাড়িতে। নানুর কাছে গল্প শুনতাম পরীদের। এই পূর্ণিমার রাতে নাকি অসংখ্য পরী, পূর্ণিমার আলোয় সারা রাত ধরে চলে পরীদের নাচ গান। পৃথিবী তখন থাকে ঘুমে অচেতন। নানুকে বলতাম, আমি কেন পরীদের দেখতে পাইনা, নানু বলতো, গভীর রাতে দেখা যায় যখন পরীরা সব বাগানে ফুল ফোটাতে আসে। নানা বাড়িতে কাচারি ঘরের সামনে ছোট্ট বাগান ছিল। আমিও যথারীতি পরী দেখার জন্য রাত জেগে থাকতাম। বারান্দার দরজাটা খুলে চাঁদটাকে দেখতাম। কখন পরীরা আসবে, সেই অপেক্ষা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যেতাম বুঝতামই না।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাচারির সামনে দৌড়, দেখতাম সব গাছে সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে রয়েছে। দেখেই মনটা ভরে যেত।
পূর্ণিমার চাঁদের প্রতি মোহটা গেল না। গতকাল রাত্রে নানা বাড়ি গিয়েছিলাম, কে যেন বলো আজ ভরা পূর্নিমা, কিন্তু ছবি না তুলে কি আর পারা যায়। দেখতাম পৃথিবীটাকে কি অদ্ভুত লাগছে জ্যোৎসনার আলোয়।
এই রাতে গাড়িতে করে নদীর পারে বসে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে পূর্ণিমা দেখার আনন্দই অন্যরকম। আজ পূর্নিমার চাঁদ দেখার জন্য বেরিয়ে ছিলাম, চাঁদের জ্যোৎসনার আলোতে চারিদিক মোহনীয় হয়ে ছিল। রাতের আঁধারেও সব কিছু কি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। কি অসম্ভব সুন্দর এই পৃথিবী। তখনও মনে মনে পরীদের খুঁজছিলাম, যদি দেখতে পাই....:|
আমার মত সবাই যদি পূর্ণিমার এই রাতটা উপভোগ করতে পারত। কিন্তু সবাই তা পারে না। এখন যারা না খেয়ে রাস্তার ধারে জীবন যাপন করছে তাদের কাছে এই সব কখনো ভাল লাগার কথা না। যারা এখন ক্ষুধার জ্বালায় মরছে তাদের কাছে এই পূর্ণিমার চাঁদটাকেও মনে হয় একটা ঝলসানো রুটি।
পৃথিবীর সবাই যদি পেট ভরে দুবেলা খেয়ে ভাল ভাবে বাঁচতে পারত তাহলে সবার কাছেই পৃথিবীটা অসম্ভব সুন্দর হত। তখন সবাই এই পূর্ণিমা রাতের চাঁদের আলোর জ্যোৎসনা উপভোগ করতে পারত।
তরুণ লেখক
মু.মেসবাহ্ উদ্দিন
আমার মত সবাই যদি পূর্ণিমার এই রাতটা উপভোগ করতে পারত
Reviewed by pencil71
on
October 12, 2022
Rating:
No comments: