আই লাভ ইউ!
কৈশোর পেরোনো ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছিল ডালিয়া-নাহিদের! ক্ষণে ক্ষণে অভিমান-ভালোবাসার মাখামাখি! কামরাঙ্গীরচরের ছোট্ট রুমের বাসায় যেন এক টুকরো স্বর্গ নেমে এসেছিল!
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি নিয়ে নাহিদ ছুটে বেড়াতেন মানুষের দরজায়। যা আয় আসে তা নিয়ে প্রিয়তমা স্ত্রী, বাবা-মাকে ভালো রাখা। ছোট্ট বয়সে কতো দায়িত্ব!
কিন্তু নিমিষেই সব শেষ! ঘাতকের উন্মত্ত লালসায় অকালে মহাকালের পথে নাহিদ। প্রিয়তমা স্ত্রী ভালোবাসা প্রকাশে হাতে মেহেদীর রঙে লিখেছিলেন- 'আই লাভ ইউ, নাহিদ'! ডালিয়ার হাত এখনও রাঙিয়ে আছে সেই লেখাটি। হয়তো জমানো অনেক কথাও ছিল! কিন্তু বলা হয়নি...স্বামী রাতে বাসায় ফিরবে..কতো অভিমান, খুনসুঁটি জমা!
কিন্তু কাফনে মোড়ানো লাশ নাহিদ.. সেই লাশের সামনে মাত্র আঠারো পেরোনো একজন স্বামীহারা স্ত্রী...
যতই ভালোবাসা থাকুক, অপেক্ষা থাকুক, প্রিয় মানুষটি কিন্তু আর আসবেনা। এক সমুদ্র কষ্ট নিয়ে ডালিয়ার কেটে যাবে জীবন!
একবিংশ শতাব্দীতে শোকের আয়ু মাইক্রো সেকেন্ড! কিন্তু পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জন্যই হয়তো একজন খুব করে অপেক্ষা করে! দিন-মাস-বছরের হিসেবে না, ওই মাইক্রো সেকেন্ডের হিসেবে! হৃদয়বক্ষ খুব পোড়ায়, যে পোড়ানোতে ঝলসে যাওয়ার ক্ষত দেখা যায় না। হয়তো অব্যক্ত ব্যথায় দিনের আলোয় চোখের কোনে জলও জমবেনা । তবুও প্রতিটাক্ষণ...প্রতিটা রাত এক সমুদ্র কষ্ট নিয়ে কেটে যাবে ডালিয়ার!
বিচারের আশা দূরাশা..
মন চাইলেই বড়লোক ব্যবসায়ীরা প্রণোদনা নেন..নাহিদের বেলায় কেনো নয়।
নাহিদ হত্যায় এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাই!
আই লাভ ইউ! // নাহিদের স্ত্রী
Reviewed by pencil71
on
April 21, 2022
Rating:
No comments: